বিএনপি এখন পুরোপুরি মনোযোগ দিচ্ছে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে। প্রকাশিত: ১:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২৫ ChatGPT said: জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে অনিশ্চয়তা থাকলেও বিএনপি এখন পুরোপুরি নির্বাচনী প্রস্তুতিতে মনোযোগী। দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব জানাচ্ছে, প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে প্রায় দুই শতাধিক আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করে নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি প্রথম ধাপে প্রায় ২০০ আসনে প্রার্থী নির্ধারণ করছে, যার মধ্যে জোটের শরিক ও যুগপৎ আন্দোলনের অংশীদার দলগুলোর জন্যও কিছু আসন বরাদ্দ থাকবে। তবে ৬০ থেকে ৭০টি আসনে স্থানীয় দ্বন্দ্ব ও একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর কারণে প্রার্থী নির্ধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে। দলীয় সাংগঠনিক দক্ষতা, আন্দোলনে ভূমিকা ও মাঠ জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিক তালিকা তৈরি হয়েছে, তবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়। স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, দুই শতাধিক প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং অচিরেই তাঁদের নির্বাচনী প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ে মাঠ জরিপ শেষ করেছেন। প্রায় ১০০টি আসনকে “জটিল” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে একাধিক প্রার্থীর কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হচ্ছে। ঢাকায় গুলশান কার্যালয়ে প্রতিদিনই বিভাগভিত্তিক বৈঠকে প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং সবাইকে দলীয় প্রার্থীকে কেন্দ্র করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। দলীয় সূত্র জানায়, অনেক সম্ভাব্য প্রার্থীকে তারেক রহমান ফোন করে নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় হতে বলেছেন। যদিও এই প্রক্রিয়া গোপন রাখা হয়েছে, তবুও কিছু এলাকায় একাধিক প্রার্থী সক্রিয় থাকায় বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। জোট শরিকদের আসন বণ্টন নিয়েও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২–দলীয় জোট, এলিডিপি, গণফোরাম ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামসহ বেশ কয়েকটি দল বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। তবে কতটি আসন শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে, তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। একই সঙ্গে বিএনপি এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এক পরিবার থেকে একজনই প্রার্থী হবেন। ফলে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ একাধিক সিনিয়র নেতার পরিবারের একাধিক সদস্য প্রার্থী হতে পারছেন না। তবে নারীদের জন্য ন্যূনতম ৫ শতাংশ প্রার্থী রাখার নীতির কারণে কিছু ক্ষেত্রে এই নিয়মের ব্যতিক্রম হতে পারে। সব মিলিয়ে, বিএনপি এখন নির্বাচনী কৌশল, প্রার্থী বাছাই ও জোট সমন্বয়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে, যার মধ্য দিয়ে তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শক্ত অবস্থান নিতে চাইছে। পোস্ট ভিউ : ১৮ SHARES রাজনীতি বিষয়: