‘দিল্লি বাবার’ সঙ্গে হোটেল কক্ষে দেখা করতে বাধ্য হতো শিক্ষার্থীরা — অডিও রেকর্ড ফাঁসের পর চাঞ্চল্য।

প্রকাশিত: ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২৫

দিল্লির স্বঘোষিত ধর্মগুরু চৈতন্যানন্দ সারস্বতীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তদন্তে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। এনডিটিভির হাতে আসা কল রেকর্ডিংয়ে প্রকাশ পেয়েছে, কীভাবে তার ঘনিষ্ঠ নারী সহকর্মীরা ছাত্রীদের হোটেল রুমে যেতে বাধ্য করতেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, চৈতন্যানন্দের নির্দেশ অমান্য করলে ওই মহিলা কর্মীরা ছাত্রীদের মার্কশিট, ডিগ্রি ও অন্যান্য একাডেমিক নথি আটকে দেওয়ার হুমকি দিতেন।

একটি রেকর্ডিংয়ে শোনা যায়, শ্বেতা শর্মা নামে এক নারী এক ছাত্রীকে বলেন—
“আগামীকাল অফিস শেষে তোমাকে হোটেলের নাম পাঠাব। স্বামীজী এসেছেন, ওনার সঙ্গে ডিনারে যেতে হবে। তোমার জন্য একটি রুম বুক করা হয়েছে, রাতে সেখানেই থাকতে হবে।”

ছাত্রী সম্মতি জানালে তিনি আরও বলেন, “কাল অফিসে আসার সময় কাপড় নিয়ে নিও।”

অন্য এক অডিওতে ছাত্রী জানান, তিনি মাসিকের কারণে যেতে পারবেন না। তখন শ্বেতা তাকে অভিযুক্ত করে বলেন, “এটা অজুহাত! তুমি ভয় পাচ্ছো।” ছাত্রী জবাব দেন, “ম্যাডাম, সত্যিই পিরিয়ড চলছে, দরকার হলে প্রমাণ দিতে পারি।”

৬২ বছর বয়সী চৈতন্যানন্দ দিল্লির বসন্ত কুঞ্জে অবস্থিত শ্রী শরদা ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ-এর প্রধান ছিলেন। গত মাসে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার তিন সহযোগীকেও, যাদের মধ্যে প্রাক্তন অ্যাসোসিয়েট ডিন শ্বেতা শর্মা আছেন, ইতিমধ্যে পুলিশ আটক করেছে।

তদন্তে জানা গেছে, অধিকাংশ ভুক্তভোগীই নিম্নবিত্ত পরিবারের ছাত্রী। আর্থিক ও মানসিক চাপে পড়ে তারা অনেক সময় ধর্মগুরুর নির্দেশ মানতে বাধ্য হতেন।