অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেছেন— সব জটিলতা নিরসন করে নির্বাচনের প্রস্তুতির পথে অগ্রসর হতে হবে। প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২৫ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন, জুলাই জাতীয় সনদ ও তার বাস্তবায়ন নিয়ে তৈরি বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজনের দিকে মনোযোগ দিতে। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গণসংহতি আন্দোলনের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,“যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন দয়া করে সমস্যাগুলো মিটিয়ে এমন ব্যবস্থা নিন, যাতে সবাই মিলে নির্বাচনের পথে যেতে পারি এবং জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করতে পারি।” এর আগে সকালে প্রেসক্লাবে জেএসডির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিনি অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। উল্লেখ্য, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর থেকেই বিএনপি অভিযোগ করছে যে, সনদের বাস্তবায়ন আদেশে দলের প্রস্তাবিত মতামত (‘নোট অব ডিসেন্ট’) বাদ দেওয়া হয়েছে এবং আলোচনায় না ওঠা বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটের প্রস্তাবকেও দলটি প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। গণসংহতি আন্দোলনের সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আরও বলেন,“অন্তর্বর্তী সরকার ও ঐকমত্য কমিশন যে সংকট তৈরি করেছে, তা কেটে যাবে। এই দেশের মানুষ কখনো পরাজিত হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।” তিনি সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন,“ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের এক হয়ে দাঁড়াতে হবে। মত-পথ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু দেশের স্বার্থে সবাইকে এক হতে হবে—বাংলাদেশ সবার আগে।” আওয়ামী লীগবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশীদার গণসংহতি আন্দোলনের সাফল্য কামনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন,“আমরা যেমন অতীতে আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। তবে আপনাদের নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে হবে, অন্য কেউ এসে তা করে দেবে না।” জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ নাজমুল কাজী ও ওমর নুরুল আবছারের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পতাকা উত্তোলন ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তৃতা দেন এবং গণসংহতি আন্দোলনের তিন দিনের এই সম্মেলনে ‘বৈষম্যহীন, অধিকারভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ’ গড়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। পোস্ট ভিউ : ৭ SHARES রাজনীতি বিষয়: