গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন

প্রকাশিত: ১২:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ১৮ হাজার ৮৮৫ জন শিশু। গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে আল জাজিরা এ খবর জানায়।

জাতিসংঘের শরণার্থী সহায়তা সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, গাজায় এখন শিশুদের জন্য কোনো স্থানই নিরাপদ নয়। খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, ফলে ক্ষুধা মহামারির আকার ধারণ করছে। লাখো বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিলেও ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে এসব আশ্রয়কেন্দ্রও ধ্বংস হচ্ছে। সংস্থাটি বলছে, জাতিসংঘের পতাকার নিচেও মানুষ হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠছে।

ইউনিসেফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত পাঁচ মাসে—ইসরায়েলের একতরফা যুদ্ধবিরতি ভেঙে পুনরায় আক্রমণ শুরুর পর থেকে—প্রতি মাসে গড়ে ৫৪০ জনেরও বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

জাতিসংঘের সতর্কবার্তার মধ্যেই মঙ্গলবার ভোরে ইসরায়েলের নতুন হামলায় অন্তত ৫১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান। এর মধ্যে আটজন নিহত হন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত জিএইচএফের খাদ্য বিতরণকেন্দ্রের কাছে। খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে হামলায় অন্তত আটজন এবং দেইর আল-বালাহতে চারজন নিহত হন। এছাড়া গাজা সিটির জয়তুন এলাকায় বিমান হামলায় চারজন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন।

দক্ষিণ গাজায় ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হচ্ছে এবং পূর্ব তুফফাহ এলাকায় ভারী গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় কাতার জানিয়েছে, হামাস একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। প্রস্তাবে ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতি, আংশিক জিম্মি বিনিময়, গাজা থেকে আংশিক ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার (বর্তমানে যার ৭৫ শতাংশ দখলে) এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে ইসরায়েল এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধু বোমা ও গুলিতে নয়, ক্ষুধা ও অপুষ্টিতেও মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজন মারা গেছেন। জুনের শেষ থেকে এ পর্যন্ত অপুষ্টি ও অনাহারে ১৫৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১১২ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে।